TheInfoPort
entertainment

সর্বকালের সেরা কোরিয়ান মিউজিক ব্যান্ড: সুরের মূর্ছনায় বিশ্ব জয়

STLRAxis Team

কোরিয়ান মিউজিক বা কে-পপ বিশ্বজুড়ে এক বিশাল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর প্রধান কারণ হলো, এই ইন্ডাস্ট্রির মেধাবী ব্যান্ডগুলো। তাদের গান, নাচ, ফ্যাশন এবং স্টাইল সবকিছুই তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করে। আজ আমরা আলোচনা করব সর্বকালের সেরা কয়েকটি কোরিয়ান মিউজিক ব্যান্ড নিয়ে, যারা তাদের ব্যতিক্রমী কাজ দিয়ে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে।

BTS (বিটিএস)

বিটিএস, যার পুরো নাম “ব্যাংটান সনিওনদান” (Bangtan Sonyeondan), ২০১০ সালে গঠিত হয় এবং ২০১৩ সালে বিগ হিট এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ডেবিউ করে। এই ব্যান্ডটি বিশ্বজুড়ে কে-পপের পরিচিতি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তাদের গানগুলোতে সাধারণত যুবসমাজের আবেগ, স্বপ্ন এবং সামাজিক সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়। বিটিএস-এর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “ডায়নামাইট”, “ব্লাড সোয়েট অ্যান্ড টিয়ারস”, “ফায়ার” এবং “স্প্রিং ডে”। এই ব্যান্ডের সদস্যরা হলেন আরএম, জিন, সুগা, জে-হোপ, জিমিন, ভি এবং জাংকুক। তাদের প্রতিটি গান এবং মিউজিক ভিডিও বিশেষভাবে তৈরি করা হয়, যা ফ্যানদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।

BLACKPINK (ব্ল্যাকপিঙ্ক)

ব্ল্যাকপিঙ্ক, ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ২০১৬ সালে আত্মপ্রকাশ করে। এই গার্ল গ্রুপটি তাদের ব্যতিক্রমী ফ্যাশন এবং শক্তিশালী গানের জন্য খুব দ্রুত পরিচিতি লাভ করে। জেনি, লিসা, রোজ এবং জিসু এই চার সদস্যের গ্রুপটি বিশ্বজুড়ে “ব্লিংক” নামে পরিচিত তাদের ফ্যানবেসের জন্য। ব্ল্যাকপিঙ্কের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “কিল দিস লাভ”, “ডুডুডু”, “হাউ ইউ লাইক দ্যাট” এবং “বোম্বায়াহ”। তাদের গানগুলোতে সাধারণত আত্মবিশ্বাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং ফ্যাশন-সচেতনতার মতো বিষয়গুলো দেখা যায়।

BIGBANG (বিগব্যাং)

বিগব্যাং, ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ২০০৬ সালে ডেবিউ করে। এই ব্যান্ডটিকে কে-পপ ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রভাবশালী ব্যান্ড হিসেবে ধরা হয়। জি-ড্রাগন, টি.ও.পি, তাইয়াং, দেসাং এবং সিউংরি এই পাঁচ সদস্যের ব্যান্ডটি তাদের মিউজিক্যাল স্টাইল এবং ফ্যাশনের জন্য পরিচিত। বিগব্যাং-এর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “ব্যাং ব্যাং ব্যাং”, “ফ্যান্টাস্টিক বেবি” এবং “লাস্ট ফেয়ারওয়েল”। তারা কে-পপ গানের ধারাকে নতুন পথে চালিত করেছে এবং বিশ্বজুড়ে অনেক শিল্পীকে অনুপ্রাণিত করেছে।

EXO (এক্সো)

এক্সো, এস এম এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ২০১২ সালে আত্মপ্রকাশ করে। এই ব্যান্ডটি দুটি সাব-ইউনিট, এক্সো-কে এবং এক্সো-এম নিয়ে গঠিত। শুরুতে ১২ জন সদস্য থাকলেও বর্তমানে ৯ জন সদস্য রয়েছে। এই ব্যান্ডের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “গ্রোল”, “কল মি বেবি” এবং “লাভ শট”। এক্সো তাদের শক্তিশালী ভোকাল এবং জটিল নাচের জন্য পরিচিত। তারা কে-পপ ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান তৈরি করেছে।

TWICE (টুইজ)

টুইজ, জেওয়াইপি এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ২০১৫ সালে গঠিত হয়। নয় সদস্যের এই গার্ল গ্রুপটি তাদের প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় গানের জন্য পরিচিত। এই ব্যান্ডের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “ফ্যান্সি”, “টিটি” এবং “চিয়ার আপ”। টুইজ তাদের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের জন্য খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে।

Red Velvet (রেড ভেলভেট)

রেড ভেলভেট, এস এম এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশ করে। এই গার্ল গ্রুপটি তাদের ব্যতিক্রমী গানের স্টাইল এবং ফ্যাশনের জন্য পরিচিত। তাদের গানগুলো সাধারণত দুটি ভিন্ন ধারণা নিয়ে তৈরি হয় - “রেড” যা তাদের উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত দিক, এবং “ভেলভেট” যা তাদের আরও পরিশীলিত এবং মার্জিত দিক তুলে ধরে। রেড ভেলভেটের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “ব্যাড বয়”, “সাইকো” এবং “রেড ফ্লেভার”।

SHINee

SHINee, এস এম এন্টারটেইনমেন্টের অধীনে ২০০৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে। এই ব্যান্ডটি তাদের ব্যতিক্রমী গান এবং নাচের জন্য পরিচিত। SHINee কে-পপ ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের একটি আলাদা স্থান তৈরি করেছে। তাদের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “রিপ্লে”, “লুসিয়фер” এবং “শার্লক”। এই ব্যান্ডের সদস্যরা তাদের ফ্যাশন এবং স্টাইলের জন্যও পরিচিত।

এই ব্যান্ডগুলো ছাড়াও কোরিয়ান মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অনেক প্রতিভাবান শিল্পী এবং ব্যান্ড রয়েছে, যারা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাদের গান এবং পারফরম্যান্স তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে এবং কে-পপকে বিশ্ব মঞ্চে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।