সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হরর সিনেমাগুলো আমাদের ভয়ের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই নিবন্ধে আমরা এমন কিছু চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করব।
জেমস ওয়ান পরিচালিত ২০১৩ সালের এই চলচ্চিত্রটি প্যারানরমাল তদন্তকারী এড এবং লরেন ওয়ারেনের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। পেরন পরিবার তাদের নতুন বাড়িতে অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর ঘটনার সম্মুখীন হয়, যা তাদেরকে ওয়ারেন দম্পতির সাহায্য নিতে বাধ্য করে।
১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি উইলিয়াম পিটার ব্ল্যাটির উপন্যাস থেকে নির্মিত, যা ১৯৪৯ সালে একটি ১৪ বছর বয়সী বালকের উপর এক্সরসিজমের সত্য ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত। গল্পে, একটি কিশোরী মেয়ের উপর অশুভ আত্মার অধিকার নিয়ে তার মা দুই যাজকের সাহায্য নেন।
টোবি হুপার পরিচালিত ১৯৭৪ সালের এই চলচ্চিত্রটি সিরিয়াল কিলার এড গেইনের অপরাধ থেকে অনুপ্রাণিত। গল্পে, পাঁচ বন্ধু টেক্সাসে একটি ফার্মহাউসে ভ্রমণের সময় লেদারফেস নামে পরিচিত এক নরখাদক হত্যাকারীর সম্মুখীন হয়।
১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি লুটজ পরিবারের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যারা অ্যামিটিভিলে একটি বাড়িতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখীন হয়। এই বাড়িটিতে পূর্বে একটি ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।
২০০৯ সালের এই চলচ্চিত্রটি স্নেডেকার পরিবারের সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যারা কানেকটিকাটে একটি বাড়িতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখীন হয়। পরে তারা জানতে পারে যে তাদের বাড়িটি পূর্বে একটি শবঘর ছিল।
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি পাদ্রি গ্যারি থমাসের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যিনি ভ্যাটিকানে এক্সরসিজম প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। গল্পে, একজন সন্দেহপ্রবণ সেমিনারিয়ান রোমে এক্সরসিজমের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখীন হয়।
২০১২ সালের এই চলচ্চিত্রটি একটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যেখানে একটি পরিবার একটি প্রাচীন বাক্স কেনার পর তাদের কনিষ্ঠ কন্যার উপর অশুভ আত্মার অধিকার ঘটে। পরে তারা জানতে পারে যে বাক্সটি একটি ডিবুক ধারণ করে, যা ইহুদি লোককাহিনীতে একটি দুষ্ট আত্মা।
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি ওয়ারেন দম্পতির সংগ্রহে থাকা একটি অভিশপ্ত পুতুলের গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। গল্পে, একটি দম্পতি তাদের বাড়িতে অশুভ ঘটনার সম্মুখীন হয়, যা তারা তাদের নতুন পুতুলের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করে।
২০০৫ সালের এই চলচ্চিত্রটি আনেলিজ মিশেল নামক এক জার্মান মহিলার সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যিনি একাধিক এক্সরসিজমের পর মারা যান। গল্পে, একজন আইনজীবী একটি যাজকের পক্ষে মামলা লড়েন, যিনি এক তরুণীর মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত, যার উপর তিনি এক্সরসিজম পরিচালনা করেছিলেন।
২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই দক্ষিণ কোরিয়ান চলচ্চিত্রটি ১৯৩৮ সালের একটি বোর্ডিং স্কুলের ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। গল্পে, একটি মেয়ে নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর তার সহপাঠীদের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আবিষ্কার করে।
এই চলচ্চিত্রগুলো আমাদের দেখায় যে, কখনও কখনও বাস্তবতা কল্পনার চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে।