করোনাভাইরাস (Coronavirus) একটি ভাইরাস পরিবার যা মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এই ভাইরাসগুলো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এই ভাইরাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো কোভিড-১৯ (COVID-19), যা ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করে।
করোনাভাইরাস মূলত চার ধরনের: আলফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা। এর মধ্যে আলফা ও বিটা করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে রোগ সৃষ্টি করে।
কোভিড-১৯ হলো একটি নতুন ধরনের বিটা করোনাভাইরাস যা সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) নামে পরিচিত। এটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং খুব দ্রুত মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাসের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
কিছু ক্ষেত্রে, কোভিড-১৯ মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন - নিউমোনিয়া, শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা এবং মাল্টি-অর্গান ফেইলিউর।
কোভিড-১৯ প্রধানত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। যখন কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেয়, তখন তার মুখ থেকে বের হওয়া ছোট ছোট ড্রপলেটগুলো বাতাসে মিশে যায় এবং অন্য কোনো সুস্থ ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়াও, কোনো দূষিত স্থান স্পর্শ করার মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
কোভিড-১৯ ছাড়াও আরও অনেক করোনাভাইরাস রয়েছে যা মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
এই ভাইরাসগুলোও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায় এবং এদের লক্ষণগুলো কোভিড-১৯ এর মতোই।
ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত:
ভাইরাস একটি জটিল বিষয় এবং এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতার সাথে জীবনযাপন করা জরুরি। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ থাকা সম্ভব।