NFT বা Non-Fungible Token হলো ডিজিটাল বিশ্বের একটি নতুন সম্পদ। এটি ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। NFT একটি বিশেষ ধরনের ক্রিপ্টোগ্রাফিক টোকেন যা কোনো নির্দিষ্ট ডিজিটাল সম্পদের মালিকানা প্রমাণ করে।
Non-Fungible কথাটির মানে হলো যা পরিবর্তন করা যায় না বা যা অদ্বিতীয়। যেমন, একটি সাধারণ মুদ্রা বা টোকেন (Fungible) এর পরিবর্তে আরেকটি মুদ্রা ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু NFT এর ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। প্রতিটি NFT সম্পূর্ণ আলাদা এবং এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
NFT মূলত ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করে। ব্লকচেইন হলো একটি বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল লেজার, যেখানে সমস্ত লেনদেন নথিভুক্ত থাকে। যখন একটি NFT তৈরি করা হয়, তখন এর সমস্ত তথ্য যেমন - মালিক কে, কখন এটি তৈরি হয়েছে, ইত্যাদি ব্লকচেইনে স্থায়ীভাবে লেখা হয়ে যায়। এর ফলে NFT এর মালিকানা এবং সত্যতা যাচাই করা সহজ হয়।
NFT সাধারণত ইথেরিয়াম (Ethereum) ব্লকচেইনে তৈরি করা হয়, তবে অন্যান্য ব্লকচেইনেও এটি ব্যবহার করা যায়।
NFT বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সম্পদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় NFT এর উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
NFT ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা আলোচনা করা হলো:
NFT এর কিছু অসুবিধা রয়েছে যা আমাদের জানা দরকার। নিচে কয়েকটি অসুবিধা আলোচনা করা হলো:
NFT কেনার জন্য কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেমন - OpenSea, Rarible, এবং Nifty Gateway। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে NFT কেনা বা বিক্রি করা যায়। NFT কেনার জন্য সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন - ইথেরিয়াম ব্যবহার করা হয়।
NFT ডিজিটাল বিশ্বে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি শিল্পী, নির্মাতা এবং সংগ্রাহকদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে। তবে, NFT ব্যবহারের কিছু ঝুঁকিও রয়েছে, তাই এর সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করা উচিত।