TheInfoPort
entertainment

জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন মুভির তালিকা

সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞান মুভিগুলো বরাবরই দর্শকদের মধ্যে একটি আলাদা স্থান করে নিয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ভিনগ্রহের প্রাণী, সময় ভ্রমণ, এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন দিক নিয়ে নির্মিত এই মুভিগুলো দর্শকদের কল্পনা শক্তিকে প্রসারিত করে। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন মুভি নিয়ে আলোচনা করা হলো:

ইন্টারস্টেলার (Interstellar)

ক্রিস্টোফার নোলান (Christopher Nolan) পরিচালিত ২০১৪ সালের এই মুভিটি সায়েন্স ফিকশন মুভির মধ্যে অন্যতম সেরা মুভি হিসেবে বিবেচিত। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ যখন সংকটের মুখে, তখন একদল নভোচারী ওয়ার্মহোলের মাধ্যমে অন্য গ্রহে প্রাণের সন্ধান করতে যায়। মুভিটির গল্প, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস এবং Hans Zimmer-এর সঙ্গীত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

ইন্টারস্টেলারে অভিনয়ের জন্য Matthew McConaughey, Anne Hathaway, Jessica Chastain এবং Michael Caine-এর মতো তারকারা রয়েছেন।

ইন্সেপশন(Inception)

ক্রিস্টোফার নোলানের আরও একটি মাস্টারপিস হলো ২০১০ সালের Inception। Dom Cobb নামের এক ব্যক্তি মানুষের স্বপ্নে প্রবেশ করে তথ্য চুরি করতে পারে। তাকে একটি জটিল কাজ দেওয়া হয় - একটি আইডিয়া মানুষের মাথায় প্রবেশ করানো। এই মুভিটি জটিল প্লট এবং অসাধারণ ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসের জন্য পরিচিত।

এতে অভিনয় করেছেন Leonardo DiCaprio, Joseph Gordon-Levitt, Elliot Page-এর মতো জনপ্রিয় তারকারা।

ব্ল্যাড রানার ২০৪৯ (Blade Runner 2049)

১৯৮২ সালের Blade Runner-এর সিক্যুয়েল এই মুভিটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। ডিরেক্টর ছিলেন Denis Villeneuve। মুভির কাহিনী এগিয়ে যায় অফিসার K নামক এক Blade Runner-কে কেন্দ্র করে। K রেপ্লিক্যান্টস সংক্রান্ত একটি রহস্য উন্মোচন করে, যা সমাজকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। Harrison Ford ও Ryan Gosling-এর দুর্দান্ত অভিনয় এবং সিনেমাটোগ্রাফি দর্শকদের মন জয় করে।

অ্যারাইভেল (Arrival)

Arrival ২০১৬ সালের একটি আমেরিকান সাইন্স ফিকশন ড্রামা ফিল্ম। চলচ্চিত্রটি Eric Heisserer কর্তৃক নির্মিত এবং Ted Chiang-এর ছোট গল্প “Story of Your Life” অবলম্বনে তৈরি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ডেনিস ভিলেনিউভে। এতে অভিনয় করেছেন Amy Adams, Jeremy Renner, এবং Forest Whitaker। চলচ্চিত্রটি সেরা সাউন্ড এডিটিং এর জন্য একটি একাডেমি পুরস্কার জিতেছে।

দ্য ম্যাট্রিক্স (The Matrix)

১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই মুভিটি একটি কাল্ট ক্লাসিক হিসেবে পরিচিত। ভবিষ্যতে মানুষ যখন মেশিনের তৈরি করা ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে বাস করে, তখন নিও নামের এক হ্যাকার জানতে পারে আসল পৃথিবী সম্পর্কে। এরপর সে বিদ্রোহে যোগ দেয়। মুভিটির অ্যাকশন, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস এবং দার্শনিক ভাবনা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। কিয়ানু রিভস,কেরি-অ্যান এবং লরেন্স ফিশবার্ন এর মতো অভিনেতারা এতে কাজ করেছেন।

ক্লোজ এনকাউন্টারস অফ দ্য থার্ড কাইন্ড (Close Encounters of the Third Kind)

স্টিভেন স্পিলবার্গ (Steven Spielberg) পরিচালিত ১৯৭৭ সালের এই মুভিটি এলিয়েনদের সঙ্গে মানুষের প্রথম সাক্ষাতের গল্প বলে। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একজন ইলেকট্রিশিয়ান একদিন আকাশে অদ্ভুত আলো দেখতে পায় এবং এরপর তার জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। মুভিটি তার কাল্পনিক গল্প এবং স্পিলবার্গের পরিচালনার জন্য আজও জনপ্রিয়।

জন ট্র্যাভোল্টা অভিনীত এই সিনেমাটি একসময় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।

উপরের মুভিগুলো ছাড়াও আরও অনেক সায়েন্স ফিকশন মুভি রয়েছে যা দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়। সায়েন্স ফিকশন মুভিগুলো শুধু বিনোদনের উৎস নয়, এগুলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে।